চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানা এলাকায় দিনদুপুরে মাইক্রোবাসে গিয়ে গুলি করে ব্যবসায়ী আফতাব উদ্দিন তাহসীনকে হত্যার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে—দুজনেই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত। তবে এখনো ঘটনার মূলহোতা সন্ত্রাসী সাজ্জাদের নাগাল পায়নি পুলিশ।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) নগরের পাঁচলাইশ থানার হাদুমাঝিপাড়া এবং হাটহাজারী-রাউজান উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার দুজন হলেন— মো. হেলাল (৩৫) এবং ইলিয়াছ হোসেন অপু। হেলাল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হওয়া মামলার ৫ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকালে রাউজানের জলিল নগর বাসস্টেশন (মদের মহাল) এলাকা থেকে হত্যার ঘটনায় সরাসরি জড়িত মো. হেলালকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয় হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলায়। পরে পাঁচটায় এসে এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ইলিয়াছ হোসেন অপুকে। তিনিও এ ঘটনায় জড়িত।
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি চান্দগাঁও থানা এলাকায় তাহসীন নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আমরা দুজনকে গ্রেপ্তার করেছি। জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। ঘটনার মূল হোতা সাজ্জাদসহ অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।’
এর আগে, ২১ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নগরের চান্দগাঁও থানার অদূরপাড়া জাগরণী সংঘ ক্লাব সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন স্থানীয় ইট ও বালু ব্যবসায়ী তাহসীন। এ সময় কালো একটি মাইক্রোবাসে দলবল নিয়ে গিয়ে তার ওপর কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ প্রকাশ বুড়ির নাতি। এতে ঘটনাস্থলে তাহসীনের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় সাজ্জাদসহ পাঁচজনকে আসামি করে চান্দগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের বাবা মো. মুছা। তাহসীন চান্দগাঁও থানার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হাজীরপুল এলাকার দিলা মিস্ত্রি বাড়ির মো. মুসার ছেলে।
এদিকে, মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট চান্দগাঁও থানার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে গ্রেপ্তার হেলাল নিজেও এলাকায় ইট ও বালুর ব্যবসা করেন। দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্ব নিহত তাহসীনের সঙ্গে। তাহসীন মূলত ব্যবসা করতো ‘শিবিরক্যাডার’ হিসেবে পরিচিত সরোয়ার হোসেন প্রকাশ বাবলার শেল্টারে।
স্টাফ রিপোর্টার,
বাংলা আপডেট