চট্টগ্রামের চাঁন্দগাও থানাধীন এলাকায় কালবেলা রিপোর্টার আমজাদ হোসেন হৃদয় নামের এক সাংবাদিকের পরিবারের সদস্যকে চাঁদা না দেয়ায় তুলে নেয়ার অভিযোগ চাঁন্দগাও থানা যুবদল নেতা সোহেল ও থানা ছাত্রদল আহ্বায়ক আলফাজের বিরুদ্ধে।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাত্রে নিজের ভেরিফাই ফেসবুক আইডিতে একাধিক পোস্টের মাধ্যমে তিনি এইসব কথা জানান।
পোস্টে উল্লেখ করে বলেন, আমার পরিবারের এক সদস্যকে চাঁদা দাবি করে না পেয়ে তুলে নিয়ে গেছে ছাত্রদল, যুবদলের নেতারা।
চাঁদগাঁও থানা, চট্টগ্রাম মহানগর। (সিএন্ডবি, টেগবাজার রেলবিটের ওখানে আটকে রাখছে। রাত ৯টা থেকে এখনো পর্যন্ত)। চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপির এমপি প্রার্থী আবু সুফিয়ানের লোকজন। চাঁদগাও থানা যুবদল নেতা সোহেল এবং থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আলফাজের নেতৃত্বে।
আর ছাত্রদল নেতাদের বিষয়ে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এবং চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ককে জানিয়েছি কোনো ধরনের সমাধান করছে না। আর এমপি প্রার্থী আবু সুফিয়ান ফোন ধরছে না। চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সালাউদ্দিন সাহেদ ভাই কাজ করছে কিন্তু তারা ছাড়ছে না। আমি ওসিকে ফোন দিয়েছে উনি পুলিশ পাঠিয়েছেন।
কিছুক্ষণ পরে আরেকটি পোস্টে তিনি বলেন, Nasir Uddin Nasir আপনাকে আমি ক্ষমা করব না। আপনাকে জানানোর পরও আপনার চাঁদাবাজ ছাত্রদলকে থামাতে পারেন নাই। চাঁদগাঁও থানা যুবদল নেতা সোহেল আর ছাত্রদল নেতা আলফাজ মিলিয়ে এখন পর্যন্ত দুইবার তুলে নিয়ে গেছে। এদের নাকি কেউ থামাতে পারছে না। তারা দেড় লাখ টাকা চেয়েছে। টাকা দেয়নি দেখে আবার নিয়ে গেছে।
এরপরে রাতে একটি গ্রুপ কলের স্ক্রিনশট দিয়ে তিনি বলেন, আমাকে মাত্র গ্রুপ কল দিয়েছেন নাছির ভাই এবং আবু সুফিয়ান ভাই। রাকিবুল ইসলাম রাকিব ভাইও ফোন দিয়েছেন। পুরো ঘটনা চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সালাউদ্দিন সাহেদ ভাই অবগত আছেন। কাল রাতে দেড় লাখ টাকা চাইছে, না পারলে অন্তত ৮০ হাজার। এর আগেও বিএনপির পরিচয়ে একজন ৭০ হাজার টাকা চাঁদা নিয়েছে।

স্টাফ রিপোর্টার,
বাংলা আপডেট