মঙ্গলবার, আগস্ট ১৯, ২০২৫
প্রচ্ছদ্ধসারাদেশচট্টগ্রামে ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যু, স্ত্রী কারাগারে

চট্টগ্রামে ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যু, স্ত্রী কারাগারে

spot_img
spot_img

চট্টগ্রামে এক ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যুর ঘটনায় তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। নিহত জাফর আলী চৌধুরী (৪৩) ফটিকছড়ির ভুজপুর থানার উত্তর ইদিলপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের কদমতলী শাখার সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ছিলেন।

গ্রেপ্তার হওয়া রোমানা ইসলাম নগরীর কোতোয়ালী থানার জেলরোড এলাকার বাসিন্দা মো. ফয়জুল ইসলামের মেয়ে। তিনি চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার বি-ব্লকের ৯ নম্বর সড়কের একটি ফ্ল্যাটে স্বামীর সঙ্গে বসবাস করতেন।

স্ত্রী রোমানা ইসলামের দাবি, জাফর আত্মহত্যা করেছেন। তবে নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, পারিবারিক কলহের জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের মতে, তার মাথার পেছনে ফোলা জখম, কানে জমাট বাঁধা রক্ত এবং হাতে নখের আঁচড়ের দাগ ছিল।

রবিবার নিহতের ছোট ভাই আবুল হাসনাত বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। এজাহারে বলা হয়, পারিবারিক কলহের কারণে স্ত্রী রোমানা ইসলাম জাফরকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। এমনকি শ্বশুরও তাকে চাকরিচ্যুত ও নিশ্চিহ্ন করার হুমকি দিতেন। শ্বশুরবাড়িতে গেলে তাকে বেঁধে রেখে নির্যাতন করা হয়েছিল বলেও ভাইকে জানিয়েছিলেন জাফর। তার দুই শ্যালক শরীফুল ইসলাম ও আরিফুল ইসলাম তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিতেন।

মামলায় আরও বলা হয়, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ১০ থেকে ৬টা ৫৫ মিনিটের মধ্যে রোমানা ইসলাম হয় নিজ হাতে, নয়তো অন্য কারও সাহায্যে জাফরকে হত্যা করেন।

রোববার সন্ধ্যায় রোমানা ইসলাম নিহতের ননদ রোকেয়াকে ফোন করে জানান, জাফরের কান দিয়ে রক্ত পড়ছে এবং তিনি অসুস্থ। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। সেখানে গেলে নিহতের বড় বোন রোকেয়া ও তার ছেলে জাফরের নিথর দেহ দেখতে পান। এর মধ্যে শ্বশুরবাড়ির লোকজন লাশ রেখে পালিয়ে যান।

চান্দগাঁও থানার ওসি আফতাব উদ্দিন জানান, নিহতের মাথায় ফোলা ও কানে রক্ত জমাট বাঁধা পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। স্ত্রীর দাবি, এটি আত্মহত্যা, তবে তিনি পুলিশকে না জানিয়ে সরাসরি হাসপাতালে নিয়ে যান। শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকায় নিহতের ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে রোমানা ইসলামকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ওসি আরও বলেন, ‘রোমানা ইসলাম এখনো মুখ খুলছেন না। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে এলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।’

আরো পড়ুন
- বিজ্ঞাপন -

সর্বাধিক পাঠিত