প্রধান উপদেষ্টার মধ্যস্থতা ও শিক্ষা উপদেষ্টার আহ্বানে ছয় দফা দাবিতে আন্দোলনরত পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা সরকারের সাথে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে। এ সময় সারাদেশে রেল ব্লকেড কর্মসূচি শিথিল রাখা হবে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি মাসফিক ইসলাম ও জুবায়ের পাটোয়ারী তাদের ফেসবুক পেজে এক ভিডিও বার্তায় এ তথ্য জানান। তারা বলেন, ‘বৈঠকের ফলাফলের ওপর নির্ভর করে পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করা হবে।’
মাসফিক ইসলাম ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘বৈঠকে ছয় দফাসহ অন্যান্য বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে সারাদেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোতে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। বৈঠক চলাকালীন পলিটেকনিকগুলোতে সব কর্মসূচি স্থগিত থাকবে।’
আন্দোলনের আরেক প্রতিনিধি জুবায়ের পাটোয়ারী বলেন, ‘কিছু তৃতীয় পক্ষ ও কুচক্রী মহল আমাদের আন্দোলনকে বিতর্কিত করার ও ব্যবহার করার চেষ্টা করছে। আপনারা সর্বোচ্চ সতর্ক থেকে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করবেন। যারা আপনাদের অনৈতিক কাজে জড়াতে চাইবে, তাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিন। আমরা সরকারের বিরুদ্ধে নই, বরং সরকারের সহযোগিতায় আমাদের আন্দোলনের দাবি বাস্তবায়ন করব।’
এর আগে বুধবার সকাল ১০টা থেকে সারাদেশের পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় কুমিল্লায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর লাঠিচার্জে ৩৫ জন শিক্ষার্থী আহত হন বলে খবর পাওয়া যায়। আন্দোলনের জেরে মহাসড়কগুলোতে তীব্র যানজট হয়। রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে বৃহস্পতিবার রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হলেও মধ্যরাতে ভিডিও বার্তায় তা বাতিল করা হয়।
