ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ আনন্দমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে সিট নবায়নকে কেন্দ্র করে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের প্রায় ১০ জন আহত হয়েছে।
রবিবার বিকাল ৫টা থেকে টানা দুই ঘণ্টা এ সংঘর্ষ চলে। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে সেনাবাহিনী, পুলিশসহ কলেজ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
আহতরা হলেন- মেহেদী হাসান শিমুল, আল-আমিন, সবুজ, রিফাত, তানভীরসহ অজ্ঞাত প্রায় ১০ জন আহত হয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিক ভাবে আহত সবার নাম ও পরিচয় জানা যায়নি।
শিক্ষার্থী আকরাম হোসাইন অপু জানান, আমাদের আশপাশে যতগুলো কলেজ রয়েছে তাদের সিট চার্জ ৫ হাজার টাকা। কিন্তু আমাদের দিতে হচ্ছে ৭ হাজার টাকা।
তা কমানোর জন্য আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। এবিষয় নিয়ে অধ্যক্ষ স্যারের সাথে রবিবার দুপুরে বসার কথা ছিল। কিন্তু আমরা যথাসময়ে গেলেও স্যার আমাদের সাথে না বসে ছাত্রদল ও সমন্বয়কদের সঙ্গে বসেন। পরে স্যার বিষয়টি নিয়ে আমাদের সরি বললে ছাত্রদল ও সমন্বয়করা ক্ষেপে গিয়ে চড়াও হয়।
আমাদেরকে ছাত্রলীগের ট্যাগ দিয়ে বহিরাগতদের নিয়ে হামলা করে। এতে আমাদের অন্তত ৫ জন আহত হয়।
আনন্দ মোহন কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী হাজ্জাতুল হাসান মুন জানান, হোস্টেলে এখনো ছাত্রলীগের পদধারী নেতাকর্মী রয়েছে। তারা অন্যায়ভাবে অধ্যক্ষ স্যারকে সরি বলাতে বাধ্য করে। বিষয়টি প্রতিবাদ করলে তারা আমাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
এতে আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আমাদের সাথে সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থী ও সমন্বয়করা রয়েছেন। সমন্বয়ক আশিকুর রহমান বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরাও কাজ করছি। যা হচ্ছে নিজেদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শফিকুল ইসলাম খান জানান, ইতিমধ্যে আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি। আমাদের সাথে সেনাবাহিনীও রয়েছে।
