শনিবার, জুন ৭, ২০২৫
প্রচ্ছদ্ধরাজনীতিআওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ তাদের সিদ্ধান্ত: ড. ইউনূস

আল-জাজিরাকে দেয়া সাক্ষাতকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস

আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ তাদের সিদ্ধান্ত: ড. ইউনূস

spot_img
spot_img

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আওয়ামী লীগ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা, তা তাদের নিজেদের সিদ্ধান্তের বিষয়। কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরার এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। ‘মুহাম্মদ ইউনূস: প্রকৃত সংস্কার নাকি বাংলাদেশে নতুন শাসকগোষ্ঠী’ শিরোনামে এই সাক্ষাৎকারটি গত রোববার (২৭ এপ্রিল ২০২৫) আলজাজিরার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়। সাক্ষাৎকারে তিনি জুলাই অভ্যুত্থান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে পলায়ন, সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন।

আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, “এই প্রশ্নের উত্তরের একটি অংশ আওয়ামী লীগকেই নির্ধারণ করতে হবে। তারা প্রথমে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা। তারা এখনও এ বিষয়ে কিছু ঘোষণা করেনি। এছাড়া নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনের প্রতিক্রিয়া এবং অন্যান্য বিষয় সামনে আসতে পারে।”

নির্বাচন কমিশনের ওপর এ বিষয়টি ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে কিনা, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “বিষয়টি তেমন নয়। অন্য রাজনৈতিক দলগুলো বলতে পারে যে, বিদ্যমান আইন অনুযায়ী আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।”

একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং উদাহরণ স্থাপনকারী নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, সংস্কারের তালিকা সংক্ষিপ্ত হলে ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে, আর বিস্তৃত হলে জুন ২০২৬-এর মধ্যে নির্বাচন হবে। তিনি উল্লেখ করেন, জনগণ এখনও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আশাবাদী এবং এটিকে তাদের জন্য সঠিক সমাধান হিসেবে বিবেচনা করে।

আলজাজিরার উপস্থাপক জিজ্ঞাসা করেন, শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের ‘মধুচন্দ্রিমা’ কি শেষ হয়েছে? পুরোনো ক্ষমতাধর গোষ্ঠীর প্রভাব এবং রাজনৈতিক শূন্যতা কাজে লাগানোর চেষ্টার মতো চ্যালেঞ্জ রয়েছে। জবাবে ড. ইউনূস বলেন, “মধুচন্দ্রিমা শেষ হলেও জনগণ এখনও বিশ্বাস করে অন্তর্বর্তী সরকার তাদের জন্য উপযুক্ত। তারা সরকারকে এখনই বিদায় নিতে বলছে না। বরং একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকার প্রস্তুতি নিচ্ছে, এবং জনগণ তাড়াহুড়ো করে ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা বলছে না।”

রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ করছি। রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা চলছে।”

সাক্ষাৎকারে তিনি থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার বৈঠকের কথা উল্লেখ করেন। বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে এই বৈঠকে তিনি শেখ হাসিনাকে ‘নীরব’ রাখার অনুরোধ করেছিলেন। মোদি জানান, শেখ হাসিনা সামাজিক মাধ্যমে কিছু বললে তিনি তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে তিনি বলেন, “আমরা পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে একসঙ্গে কাজ করতে চাই।”

আরো পড়ুন
- বিজ্ঞাপন -

সর্বাধিক পাঠিত