২৭তম বিসিএস পরীক্ষায় নিয়োগবঞ্চিত ১১৩৭ জনকে পুনরায় চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) আপিল বিভাগের প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় প্রদান করেন।
এর আগে, ২০১০ সালের ১১ জুলাই আপিল বিভাগ এক রায়ে প্রথমবারের মৌখিক পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত বৈধ বলে ঘোষণা করে। তবে, সেই রায়ের পুনর্বিবেচনার জন্য নিয়োগবঞ্চিত ১১৩৭ জন প্রার্থী গত বছর পৃথকভাবে ১৪০টি আবেদন করেন। শুনানি শেষে ২০২৩ সালের ৭ নভেম্বর আপিল বিভাগ লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে, যার ধারাবাহিকতায় এ বিষয়ে আপিলের চূড়ান্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
আদালতে নিয়োগবঞ্চিত আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি পরিচালনা করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক এবং পিএসসির পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
আইনজীবীদের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৭ সালের ২১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ২৭তম বিসিএস পরীক্ষার প্রথম মৌখিক পরীক্ষায় ৩৫৬৭ জন উত্তীর্ণ হন। তবে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ৩০ মে ওই ফলাফল বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়, যা ১ জুলাই বাস্তবায়িত হয়। এরপর ২৯ জুলাই দ্বিতীয় দফায় মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয় এবং ২০০৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ৩২২৯ জনকে উত্তীর্ণ ঘোষণা করা হয়।
পরবর্তীতে, প্রথম মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও নিয়োগবঞ্চিতদের একটি অংশ উচ্চ আদালতে মামলা করেন। ২০০৮ সালে হাইকোর্ট প্রথম পরীক্ষার ফল বাতিলের সিদ্ধান্তকে বৈধ ঘোষণা করে এবং ২০০৯ সালের ১১ নভেম্বর হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা অবৈধ বলে রায় দেয়।
সরকার সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে ২০১০ সালের ১১ জুলাই আপিল বিভাগ দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষাকে বৈধ ঘোষণা করে। তবে, নিয়োগবঞ্চিত ১১৩৭ জন আবেদনকারী পরবর্তীতে পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন, যা সর্বশেষ শুনানি শেষে আপিল বিভাগ তাদের চাকরি ফেরতের আদেশ দেয়।
