শনিবার, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৫
প্রচ্ছদ্ধসারাদেশপুলিশের দাবি চলন্ত বাসে ডাকাতি, তবে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি

পুলিশের দাবি চলন্ত বাসে ডাকাতি, তবে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি

spot_img
spot_img

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে উত্তরবঙ্গগামী চলন্ত বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও কোনো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছেন টাঙ্গাইলের জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান। তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বাসে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটতে পারে।

চলন্ত বাসে ডাকাতির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে টাঙ্গাইল পুলিশ। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান।

পুলিশ সুপার জানান, গ্রেপ্তার তিনজনই আন্তঃজেলার ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। শুক্রবার রাতে সাভার এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় লুণ্ঠিত তিনটি মোবাইল ফোন, একটি ছুরি ও ২৯ হাজার ৩৭০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার তিনজনের মধ্যে একজনের নাম মুহিত, যার বাড়ি মানিকগঞ্জে। অন্যরা হলেন শরীয়তপুরের সবুজ ও ঢাকার শরীফ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত তিনজন অপরাধ স্বীকার করেছে বলে জানান পুলিশ সুপার। তিনি আরও বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে আরও কয়েকজন জড়িত, যাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে আমরা ধর্ষণের কোনো ঘটনা পাইনি। তবে ডাকাতরা স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা-পয়সা নেওয়ার সময় নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করতে পারে।”

তিনি আরও বলেন, “বাসের নারী যাত্রীদের সঙ্গেও আমরা কথা বলেছি। তারা আমাদের কাছে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে। তদন্ত চলছে, আশা করি দ্রুতই পুরো বিষয়টি স্পষ্ট হবে।”

গত বৃহস্পতিবার রাতে বাসযাত্রী ওমর আলী বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়।

এর আগে সোমবার রাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ইউনিক রোড রয়েলসের ‘আমরি ট্রাভেলস’-এর একটি বাসে ডাকাতি হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলন্ত বাসে এই ঘটনা ঘটে। পরে বাসটি একই জায়গায় ঘুরিয়ে এনে ভোর ৪টার দিকে ডাকাতরা নেমে যায়।

ডাকাতির ঘটনায় বাসের সুপারভাইজার, চালক ও চালকের সহকারীকে আটক করেছিল পুলিশ। পরে তাদের ৫৪ ধারায় আদালতে উপস্থাপন করা হলে তারা জামিনে মুক্তি পান।

আরো পড়ুন
- বিজ্ঞাপন -

সর্বাধিক পাঠিত