মঙ্গলবার, জুলাই ১, ২০২৫
প্রচ্ছদ্ধজাতীয়দলগত নয় বিচার না হওয়া পর্যন্ত কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হলো আওয়ামী লীগ...

দলগত নয় বিচার না হওয়া পর্যন্ত কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হলো আওয়ামী লীগ এর

spot_img
spot_img

অন্তর্বর্তী সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর নেতাদের বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দলটির সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সঙ্গে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে, যাতে ট্রাইব্যুনাল কোনো রাজনৈতিক দল, এর অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে।

এই সিদ্ধান্ত শনিবার (১০ মে) রাতে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ সভায় গৃহীত হয়। সভাটি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রাত সাড়ে আটটা থেকে পৌনে ১১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। সভার পর যমুনার সামনে সংবাদ ব্রিফিংয়ে সিদ্ধান্তগুলো জানান আইনবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং মো. মাহফুজ আলম।

আসিফ নজরুল বলেন, “উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী অনুমোদিত হয়েছে। এই সংশোধনীর মাধ্যমে ট্রাইব্যুনাল কোনো রাজনৈতিক দল, এর অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা পাবে।”

তিনি আরও জানান, “আওয়ামী লীগ ও এর নেতাদের বিচার কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব, জুলাই আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা এবং ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে জারি হবে।” এছাড়া, জুলাই ঘোষণাপত্র আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকাশের সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে।

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে গত তিন দিন ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন এবং ছাত্র-জনতা টানা কর্মসূচি পালন করে আসছে। এই প্রেক্ষাপটে শুক্রবার রাতে জরুরি বৈঠকে বসে উপদেষ্টা পরিষদ।

১৯৭৩ সালে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ, যুদ্ধাপরাধ এবং আন্তর্জাতিক আইনের আওতাধীন অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন প্রণয়ন করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। অভ্যুত্থান দমনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও গুমের অভিযোগে মামলা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার এই অভিযোগগুলোর বিচারের জন্য গত নভেম্বরে আইনটি সংশোধন করে। এবার রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রেখে আইনের সংশোধনীর খসড়া অনুমোদিত হয়েছে।

আরো পড়ুন
- বিজ্ঞাপন -

সর্বাধিক পাঠিত