চুয়াডাঙ্গায় টিসিবির কার্ড বিতরণকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, যেখানে মো. রফিক (৫০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এছাড়া, উভয় পক্ষের অন্তত চারজন আহত হয়েছেন।
শনিবার (৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নে এই সংঘর্ষ ঘটে। নিহত রফিক তিতুদহ গ্রামের রহিম মল্লিকের ছেলে এবং ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, ভিজিএফ কার্ড বিতরণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির ইউনিয়ন সভাপতি মিলন মিয়া এবং রফিকের অনুসারীদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। শনিবার সকালে বিষয়টি মীমাংসার উদ্দেশ্যে বৈঠকের আয়োজন করা হয়। তবে একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান রফিক।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে রয়েছেন রফিকের ভাই শফিক, বিএনপি নেতা মিলন, টোটন ও রফিকুল। বর্তমানে তারা চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তিতুদহ ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সেক্রেটারি ঈসমাইল হোসেন জানান, ভিজিএফ কার্ড বিতরণকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। শনিবার সকালে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের কথা থাকলেও সংঘর্ষ বেধে যায়, যেখানে রফিক নিহত হন।
সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস, সহকারী পুলিশ সুপার জাকিয়া সুলতানা, দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমীর এবং সেনাবাহিনীর একটি দল।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস বলেন, ‘বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে রফিক নিহত হয়েছেন। তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিহতের মরদেহ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
