চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন থানায় গত ২৪ ঘণ্টায় অভিযান চালিয়ে ৪২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলাসহ সন্ত্রাসবিরোধী আইনের বিভিন্ন ধারায় তাদের আটক করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।
রবিবার দুপুর ২টা থেকে সোমবার দুপুর ২টা পর্যন্ত চলা এই অভিযানে আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা রয়েছেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মাহমুদা বেগম জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তাদের জড়িত থাকার অভিযোগের ভিত্তিতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন— ইপিজেড থানার মামনুর রশিদ মামুন (৩৬), তারিকুল ইসলাম (২৬); চকবাজার থানার মো. আশেকুল আলম আশিক (৩৮), মোহাম্মদ এরশাদ (৪৫); ডবলমুরিং মডেল থানার ইরাত শরীফ বিজয় (২৪), আব্দুল আজিম অপু (২৪), ইয়াছিন আরাফাত (৩৪), এস এম নাজমুল আলম শুভ (৩১), মো. আসরাফ উদ্দিন সাদমান (১৯), সাজেদা বেগম (৪৩); সদরঘাট থানার মো. ইশতিয়াক মুন্না (৩৫), মো. ইলিয়াছ (৫১), মো. মজনু (৫৩), রাজীব দে (৩৮); চান্দগাঁও থানার আদিত্য পাল (২৮), সাইদ ইমতিয়াজ সানি (৩০), আহমদ আলী (৫৪); খুলশী থানার মো. শাহারিয়ার শাওন (২৮), আব্দুল হান্নান (৫৩), মো. মাসুদ রানা (৪৬), মেহেদী হাসান (২৩); বন্দর থানার মো. ফরহাদ (২৮), শাহাদাত হোসেন রুমান (৩০); কোতোয়ালি থানার জামালখান ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ২ নম্বর ইউনিটের প্রচার সম্পাদক মো. জহির উদ্দিন (৪৭); চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সহসম্পাদক আবির সেন (৩০), উপ-ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক অনিক সেন গুপ্ত (৩০); চট্টগ্রাম স্টেশন রোড হকার্স লীগের সভাপতি মো. কবির (৪০), তানভীর রহমান নওশাদ (৩২), আলী আকবর (৪৭), রেজাউল করিম (৬১), মোহাম্মদ ফারুক (৫৫), মো. ইকবাল হোসেন (৩৪); পাহাড়তলী থানার মো. রাজু (৩০); বাকলিয়া থানার আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নওয়াব আলী (৫৫), ১৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মো. সেলিম (৫৫), ১৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মো. ওবায়েদ (৩৪), আলমগীর (৩৪), মো. হাসান (৩৫); কর্ণফুলী থানার চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক আহম্মদ আলী (৩৯); পতেঙ্গা মডেল থানার মো. সোহাগ (৩৪) ও সাইফুল ইসলাম (৩০)।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলোর তদন্ত চলছে এবং আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
