বৃহস্পতিবার, জানুয়ারি ১৬, ২০২৫
প্রচ্ছদ্ধশিক্ষাকুষ্টিয়ায় ইবি শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে প্রধান ফটকে তালা

কুষ্টিয়ায় ইবি শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে প্রধান ফটকে তালা

spot_img
spot_img

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন সময় নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য ও হুমকির অভিযোগ এনে ওই শিক্ষকের অপসারণ দাবি করেন তারা।

সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনে ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্লোগান শুরু করে শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকের সামনে যেয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে তারা।

এসময় শিক্ষার্থীরা দফা এক দাবী এক, হাফিজের পদত্যাগ, হাফিজকে হটাও, ডিএস বাঁচাও; হাফিজের ঠিকানা, ডিএস এ হবে না প্রভৃতি স্লোগান দিতে থাকেন।

এদিকে ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ সমূহ হলো, শিক্ষার্থীদের মধ্যে গ্রুপিং সৃষ্টি করে ইন্টারনাল নম্বর টেম্পারিং করা, নারী শিক্ষার্থীদের অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করা, তাদের পোশাক নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা, সিনিয়র জুনিয়রের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি করা।

এদিকে বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে দুপুর ২টায় কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহমুখী বাস আটকে দেন শিক্ষার্থীরা। দেড়ঘণ্টা প্রধান ফটক অবরোধের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মাদ নসরুল্লাহর সঙ্গে আলোচনায় বসেন শিক্ষার্থীরা। এসময় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে অপসারণের দাবিতে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।

লামিয়া নামের ভুক্তভোগী এক নারী শিক্ষার্থী বলেন, স্যার ক্লাসে এসে কি না কি বলে অপমান করবে সেই ভয়ে কাটাতে হয়েছে সবসময়। আমি কি ড্রেস পড়লাম, কোথায় গেলাম, কার সাথে ঘুরলাম, কোন বাসে ঢাকা গেলাম সেসব কৈফিয়ত দিতে হয় আমাকে। বৃষ্টিতে ভিজে চা খাইলে সে বলে আমি নাকি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেছি৷ সে একজন শিক্ষক হয়ে সে সবার সামনে মেয়েদের গালি দেয়।

অপর শিক্ষার্থী অনন্যা রহমান বলেন, বাপ মা তুলে গালি দেওয়া স্যারের আগের অভ্যাস। যারা নাচ করি তাদের নর্তকী, বাকিদের বাজারের মেয়ে এগুলো বলেছে। আমি আমার বন্ধুর সাথে কোথায় বসব না বসব, সেসব নিয়ে সে কুরুচিপূর্ণ কথা শুনিয়েছেন। সে আমাকে হেনস্তা করার জন্য ১০০ পেজের এসাইনমেন্ট করিয়েছে অথচ জমা নেয়নি।

বিভাগের ছাত্র হৃদয় বলেন, স্যার আমাকে হল থেকে নামিয়ে দেন। পরে তার মাধ্যমে হলে ওঠার জন্য বলেন।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের সঙ্গে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক আতিফা কাফি বলেন, উপাচার্য স্যার তদন্ত কমিটির আশ্বাস দিয়েছেন। তদন্ত কমিটি পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।

এবিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে তার বিভাগের শিক্ষার্থীরা যেসব অভিযোগ তুলেছে সেগুলো সত্য হলে অবশ্যই প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিবে।

 

আরো পড়ুন
- বিজ্ঞাপন -

সর্বাধিক পাঠিত